উত্তরদিনাজপুর

করোনা আবহে এলইডি লাইট বর্জনের সিদ্ধান্তে চাহিদা বাড়ছে দীপাবলির মোমবাতির।

করোনা আবহে চীনা এলইডি বাতির চাহিদা কমে যাওয়ায় দীপাবলিতে মোমবাতি শিল্প ভালো হওয়ার আশায় খুশী উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কারখানার মালিক থেকে শ্রমিকেরা। দীপাবলির আগে ব্যাপক ব্যস্ততা রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ার মোমবাতি তৈরির কারখানায়। কয়েক বছর ধরে চীনা বাজারের ঝকমকি এলইডি লাইটের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছিল দীপাবলির মোমবাতি। গৃহস্থরা বাড়িতে বাড়িতে কম খরচে এলইডি লাইট লাগিয়ে উদযাপন করছিলেন আলোর উৎসব দীপাবলি। সাধারন মানুষ চীনা বাজারের এই এলইডি লাইটকে এবার প্রায় বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চাহিদা বাড়ছে দীপাবলির মোমবাতির। 

 

রায়গঞ্জের মোমবাতি তৈরির কারখানার মালিক সুধাংশু সাহা জানিয়েছেন, করোনার পর সরকার চীন থেকে আসা ইলেক্ট্রিকের বিজলি বাতি,  টুনি বালব সহ এলইডি লাইট আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় এবং সাধারন মানুষও চীনা বাজারের ঝকমকি এলইডি লাইটের ব্যাবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ায় তাদের কারখানার উৎপাদিত মোমবাতির চাহিদা একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। মোমবাতি পাইকারি ক্রেতারা এবছর প্রচুর পরিমানে দীপাবলির মোমবাতি অর্ডার দেওয়ায় এবার দীপাবলিতে মোমবাতির ব্যাবসা বাড়বে বলে আশা তাদের।তাদের তৈরি মোমবাতি যায় দুই দিনাজপুর সহ মালদা, শিলিগুড়ি এবং পাশের রাজ্য বিহারেও।গত বছরের তুলনায় এবছর দীপাবলির মোমবাতির চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ার মোমবাতি কারখানাগুলিতে এখন চরম ব্যস্ততা। দিনরাত এক করে কারখানার শ্রমিকেরা তৈরি করে চলেছেন দীপাবলির মোমিবাতি। 


দেশীয় মোমবাতির ব্যাবসায় আগের বারের চাইতে অনেক বেশি লাভ হবে বলে আশা করছেন মোমবাতি তৈরির কারখানার মালিক ও মোমবাতি ব্যাবসার সাথে যুক্ত ব্যাবসায়ীরা। এবছর দীপাবলির রাতে গৃহস্থের বাড়িতে বাড়িতে মোমবাতির প্রজ্জ্বলিত শিখা জ্বালানোর জন্য কারখানাগুলিতে তৈরি করা হচ্ছে ডিজিটাল মোমবাতি।